সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট স্বচ্ছ নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা। আমরা বলেছিলাম, নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু মনে করবেন না রোজ কেয়ামত পর্যন্ত আপনাদের আমরা এ জায়গায় দেখতে চাইব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে একটি খুনের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এটি একদিনে হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সারাবিশ্ব স্বীকৃত, জাতিসংঘ স্বীকৃত খুনি হাসিনা স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ৬০ শতাংশ মানুষকে মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে। এরপরও শেখ হাসিনার কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো দিল্লিতে বসে এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের অপরাধী হিসেবে তকমা দিচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
প্রধান বক্তা হিসেবে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পাটশিল্পের তীর্থস্থান ছিল খুলনা। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার, তাঁবেদার সরকার ভারতের প্রেসক্রিপশনে পাটশিল্প ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলতে চাই, প্রিয় নেতা তারেক রহমান তার উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের সমস্ত শিল্পকে পুনরুত্থান ঘটাবে ইনশাআল্লাহ। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সকল তরুণ শুধু শ্রম দিয়ে নয়, চিন্তা ও মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা মাঠে থাকব।
তারুণ্যের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।