1. khulnaedition@gmail.com : Khulna Edition : Khulna Edition
  2. hasanur321@gmail.com : হাসানুর রহমান : হাসানুর রহমান
  3. imranbinrabiul@gmail.com : Md Imran Nazir : Md Imran Nazir
  4. mahedihasananas@gmail.com : Mahedi Hasan Anas : Mahedi Hasan Anas
  5. zakirnet@yahoo.com : SM ZAKIR Hossain : SM ZAKIR Hossain
  6. admin@www.khulnaedition.com : খুলনা এডিশন :
  7. zaberhosen1143@gmail.com : মোঃ জাবের হোসেন : মোঃ জাবের হোসেন
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
আজকের সর্বশেষ এডিশন:
ইসরায়েলের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা অর্থহীন ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলছেন রাজনীতিবিদরা নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে তা নিরসনকল্পে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা জাতির সামনে স্পষ্ট করার আহ্বান জামায়াতের প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল, হামলা হতে পারে ইরানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: সেই দ্বৈরথ দেখতে চান শান্তও ভারতে ২৫০ যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমানুষের ইচ্ছা আগে সংস্কার ও বিচার তারপর জাতীয় নির্বাচন: মোবারক হোসাইন ইলিশের প্রজনন রক্ষায় সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ঈদের ছুটিতে বাসার সর্বস্ব লুট, দুই চোর রিমান্ডে

প্রকাশিত সংবাদ, ভূমিকা ও করণীয়: ইবনে শাহ

শাহ আজিজুর রহমান তরুণ
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে
Jpg 3
ইবনে শাহ

ঢাকা অফিস: 

দৈনিক ইত্তেফাকের ১৮ই মে প্রকাশিত একটি খবরের ছবি –ভক্তরা অনেকেই আমার কাছে পাঠিয়েছে। ছবিসহ শিরোনাম হলো– “মাদারগঞ্জে জামায়াতের দুই নেতার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিল স্থানীয়রা”। বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। জুতার মালা গলায় জামায়াত নেতার ছবি সামাজিক মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো এদেশের রাঘববোয়াল রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের হাজার হাজার অপকর্ম ও অপকৃতির ঘটনা ঘটছে প্রশাসনের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে সাংবাদিকরা ছবি তুলছে কিন্তূ ধরার সাহস হচ্ছে না লিখতে কলম চলে না।

কিন্তু জামালপুরের মাদারগঞ্জে প্রাক্তন জামায়াত নেতার পরিচালিত সমবায় সমিতির হিসাব পত্র নিয়ে ত্রুটি ধরা পড়ে। এর সংশোধন‌ কিংবা সমাধানের আগেই সমিতির অঙ্গ সংগঠন কিংবা সমিতি থেকে ঋণ নেওয়া ব্যবসায়ীর কাপড়ের শো রুমের কর্মচারীকে (যিনি জামায়াতের স্থানীয় দায়িত্বশীল) একা পেয়ে আটক করে আওয়ামী লীগ নেতা মীর্জা আজমের সমর্থকরা । তারা বামপন্থীদের ঘাড়ে স‌ওয়ার হয়ে কাপড়ের শো-রুমের কর্মচারীকে দোকানের মালিক বানিয়ে জুতার মালা গলায় পড়িয়ে ছবি তুলে জামায়াত নেতার অপকর্ম বলে চালিয়ে দিল। তাদের মূল টার্গেট ছিল ইসলামপন্থীদেরকে আঘাত করা। তাইতো উদোর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপানোর মতো করে— এই রে হ‌ই হ‌ই র‌ই‌ র‌ই, এইবার বাটে পেয়েছি, জাতীয় নিউজ হয়ে গেল। আমি খবর নিয়ে জেনেছি এ বিষয়ে স্থানীয় জামায়াত প্রতিবাদ করেছে, কাপড়ের শোরুমের কর্মচারী ভিকটিম জামায়াতের স্থানীয় দায়িত্বশীল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, হয়তো গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু উত্তর বাংলায় একটি প্রবাদ আছে–” ধর্ষিতের অবস্থান হাইকোর্ট করলেও ফেরে না”। ঘটনার পরে প্রতিবাদ ও মামলা করে লাভ কি ?

পত্র-পত্রিকা কিংবা সামাজিক মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের মানুষ এসব খবর নিয়ে মেতে উঠে। আমাদের জাতিগত অভ্যাস হলো শুধু অন্যের সমালোচনা করা। সারা পৃথিবীতে যতগুলো জাতি বা গোষ্ঠী আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ব্যতিক্রমী জাতি হল বাঙ্গালী। পৃথিবীর অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর শারীরিক আদর্শিক মিল থাকলেও বাঙালি জাতির শারীরিক এবং আদর্শিক মিল কোনটাই নেই। গবেষকরা বলেছেন –বিশ্বের অনেক জাতি গোষ্ঠীর রক্ত বাঙালির সাথে মিশে গেছে। তাইতো বাঙালি একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। হুজুকে মেতে ওঠা বাঙালির একটি নিত্যনৈমন্তিক ব্যাপার।

রাজনৈতিক অঙ্গনের মত দ্বীনি অঙ্গনে অনেক সময় দেখা যায় বাঙালি মুসলিমরা এবাদত বন্দেগী, পরহেজগারী ও কেরামতিতে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈনদেরকে অতিক্রম করে যায়। এ প্রসঙ্গে আমার দাদা আমাকে একটা ঘটনা বলেছিলেন– ঘটনাটি হলো এক মহাবুজুর্গ মুখলেস বান্দা একদিন রাস্তায় বসে ক্রন্দন করছেন এবং হা হুতাস করতেছেন, হায় হায় এখন আমার কি হবে। হুজুরের কান্না দেখে, । সাধারণ মানুষ এবং হুজুরের মুরিদগণ দৌড়ে এসে, হুজুরের কান্না দেখে কেউ কেউ নিজেরাও কান্না শুরু করে দেয়। কেউ জিজ্ঞেস করল হুজুর কি হয়েছে, কান্নাকাটি করছেন কেন? হুজুর বলতেছে আমি কান্না না করে কেমনে থাকি, আমার নাকি বিবি তালাক হয়ে গেছে। ঘরে আমার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আছে, তাদেরকে এবং আমার ঘর সংসার কে দেখাশোনা করবে, হায় হায় এখন আমার কি হবে। লোকজন জিজ্ঞেস করল আপনার বিবি তালাক হয়েছে কিভাবে। হুজুর পাক বললেন একটু আগে এক মুসলিম ভাই এসে আমাকে বললেন যে, হুজুর আপনার বিবি তালাক হয়ে গেছে। লোকজন হুজুরকে জিজ্ঞেস করে হুজুর আপনি কি সত্যি সত্যি আপনার বিবিকে তালাক দিয়েছেন? হুজুর বললেন না না আমি তো কখনোই আমার বিবিকে তালাক দেইনি। তখন মুরীদগণ হাসতে হাসতে বলেন, হুজুর বিবি আপনার, আপনি তালাক দেননি অথচ কেউ একজন বলল আপনার বিবি তালাক হয়ে গেছে এটা শুনেই আপনি কান্না করছেন, এটা কেমন কথা। বুজুর্গ ব্যক্তিটি তখন বললেন, আরে এক মুসলিম কখনো মিথ্যা কথা বলতে পারে না । এক মুসলিম ভাই যখন আমাকে বলল যে, আমার বিবি তালাক হয়ে গেছে তখন কি আমি বিশ্বাস না করে থাকতে পারি”!

এদেশের ডানপন্থী বামপন্থী সেকুলার আদর্শের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হাট-বাজার, বাস স্ট্যান্ড, টেম্পু স্ট্যান্ড দখল ও কালোবাজারী সিন্ডিকেট সব কিছুরই হোতা হলেও এটাকে কেউ আমলে নেয় না। পত্র-পত্রিকার পাতা খুললেই প্রতিদিন সবগুলো পত্রিকাতেই তাদের অপকর্ম ও অপকৃতির পাঁচ দশটা খবর প্রচারিত হলেও সেদিকে জনগণের চোখ ক্ষণিকের জন্য গেলেও তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না। কিন্তু বছরে এক দুবার ইসলামপন্থীদের একটু পদস্খলন হলেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রসকস লাগিয়ে পত্র-পত্রিকা যেমন রিপোর্ট করা হয়, তেমনি সাধারণ পাবলিকও গো-গ্রাসে গিলতে থাকে, আর ঢেকুর উদগীরণ করে বলতে থাকে হায় হায়,দেশটাকে এঁরা শেষ করে দিল। ইসলামপন্থীদেরকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড দিতে এতটুকু দ্বিধা করে না, অন্যদিকে অপকর্ম অপকৃত্তি যাদের পেশা ও নেশা তাদের যেন সাত খুন মাফ।

জামায়াত নেতার সমিতি বা সমিতির কোন অঙ্গ সংগঠনের ঋণের টাকায় প্রতিষ্ঠিত কাপড়ের শোরুমের কর্মচারী কিভাবে দোষী হতে পারে এরূপ চিন্তা কেউ করে না। অনেক সময় সাধারণ দাড়ি টুপিওয়ালাদেরকে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক নেতা বানিয়ে হলুদ সাংবাদিকতাও করা হয়। মুখলেস বান্দারা এ সব কিছুকে বিশ্বাস করে কিংবা বিশ্বাস না করলেও চুপচাপ থাকে। কারণ এরা মুখলেস বান্দা তো, তাদের ধারণা আমরা তো দেখিনি বা জানি না যে, ওই ব্যক্তি নির্দোষ ! না দেখে, না শুনেই নির্দোষ মনে করা যায় না, তাইতো প্রতিবাদ করে না কিন্তু না দেখে, না শুনে, সাক্ষী প্রমান না নিয়ে দোষী সাব্যস্ত করা যায় এরই নাম কি মুখলেস বান্দা?

সাধারণ পাবলিকের মত ইসলামপন্থী দলেও মুখলেস বান্দার সংখ্যাই বেশি। এরা কারো সাতপাঁচে নেই। রুটিন মাফিক কাজকেই শুধুমাত্র সাংগঠনিক বা দ্বিনি কাজ মনে করে। সামাজিক অপপ্রচার রোধ করা, অপবাদ কিংবা মিথ্যা প্রচার থেকে দ্বীনি ভাইকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা করাকে এরা সাংগঠনিক বা দ্বিনি কাজ মনে করে না। আবার এমনও হয়– কেউ উদ্যোগ নিলে তাঁর‌ও দোষ খোঁজা শুরু হয়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ মনে করে চাপিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ আবার সাংগঠনিক কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে ছোটখাটো বিষয়গুলোকে মীমাংসা না করে এড়িয়ে যায়। ঠিক যেন এনজিও কার্যক্রমের মতো। সময় নেই বলে মাসের পর মাস ঝুলিয়ে রাখে, গুরুত্ব দেয় না। এভাবেই দেখা যায় কোন এক সময় পচা শামুকে পা কেটে ফেলে। শুধু পা কেটে ক্ষ্যান্ত হয় না, ক্ষতস্থানে গ্যাংরিন হয়ে যায়। তখন আর করার কিছুই থাকেনা।

এদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের হাজার হাজার অপকর্ম এবং অপকৃতি সাধারণ কর্মী সমর্থকরা মিলেই স্থানীয়ভাবেই মীমাংসা করে দেয়, হাজার হাজার দোষ ত্রুটিকে তারা ঢেকে রাখে, কেউ নেতা-নেত্রীদের বদনাম বলতে সাহস পায় না কারণ দলীয় কর্মীরা শত কন্ঠে সাফাই গেয়ে প্রতিবাদ করে। অন্যদিকে ইসলামপন্থী কর্মীরা নিজেদের কারো নামে মিথ্যা অপবাদ কিংবা লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হচ্ছে বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করে, চুপসে যায় প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। সত্য কথাটি প্রকাশ্যে বলাকে তারা প্রদর্শনেচ্ছা মনে করে। কেউ কেউ আবার মনে করে আমি তো সঠিক না বেঠিক কিছুই জানিনা কিভাবে প্রতিবাদ করি।

অন্যায়, অপবাদ, অপপ্রচার এর বিরুদ্ধে সকল জনশক্তিকেই সোচ্চার হতে হবে। একজনকেই শতমুখে প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ বর্তমান আমাদের দেশের মানুষ এবং রাজনীতির পরিচালকেরা আমাদের একজন নেতাকর্মীর ভুলকে সমস্ত সংগঠনের ভুল বলে প্রচার করতে দ্বিধা করে না। এই পরিস্থিতিতে মুখলেস বান্দার মত আমি দেখিনি, আমি শুনিনি বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত, প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা করা সাংগঠনিক প্রধান দায়িত্ব। কেউ যদি কারো হক নষ্ট করে, আমানতের খেয়ানত করে, কিংবা ব্যবসার নামে ধোঁকা দেয়, এসব কাজ যার দ্বারাই হোক না কেন কোন ক্রমেই তাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে সাংগঠনিক জনশক্তির এ সকল কাজ ব্যক্তিগত নয়, অতি সত্তর সংগঠনের ঘাড়ে এসে পড়বে। একজনের পক্ষে সম্ভব না হলে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করে সমাধান করতে হবে। শুধু উর্ধ্বতন সংগঠনের উপর দায়-দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকলে কোন লাভ হবে না। কারণ সুগন্ধ কিংবা দুর্গন্ধকে ঢেকে রাখা যায় না। ঢেকে রাখা নয়, ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে হবে, তাহলেই সেই ব্যক্তি যেমন নিরাপদ হবে তেমনি সংগঠনও রাহুমুক্ত হবে। এ ব্যাপারে অধস্তন সংগঠনের জনশক্তিকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে, কারণ অধঃস্থন বা লোকাল সংগঠনের জনশক্তি বিষয়গুলোকে যেভাবে স্বচক্ষে অবলোকন করেছে, উর্ধ্বতন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেভাবে দেখিনি। এমনও হয়ে যায় উর্ধ্বতন সংগঠনের দায়িত্বশীলরা যার কাছ থেকে তথ্য নিয়েছেন সেই ব্যক্তিটিও সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেনি। তাই সঠিক সমাধান হয়নি। আর সঠিক সমাধান না হলে মাদারগঞ্জের জুতার মালা অনেকেই হাতে তুলে নেবে।

 

আমার অভিব্যক্তি হয়তো একটু শক্ত হয়ে গেল–কিন্ত সকলকেই মনে রাখতে হবে আমার ভুলের কারণে যেন সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমার ব্যক্তিগত কর্মকান্ড যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হলে সংগঠনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। কারণ কি জানেন–ইসলামপন্থীরা দুর্নীতিমুক্ত চাঁদাবাজ মুক্ত দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাস মুক্ত ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় । সুতরাং দেশের সাধারণ জনগণ এবং সাংবাদিকরাও অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে ইসলামপন্থীদের দোষ খুঁজতেই থাকবে –“তোমরা নিজেরাই কেমন আগে প্রমান দাও”। আর অন্যদের ব্যাপার‌ই আলাদা–কারণ তারা ইনসাফভিত্তিক সমাজ চায় না। তারা ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতি চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিজেরাই করবে কিন্তু অন্যদেরকে করতে দেবে না। প্রয়োজনে এজন্য লড়াই করবে। মৌলিক পার্থক্যের এই বিষয়টিকে ভালোভাবে বুঝতে হবে।

তাইতো বর্তমান সময়ের দাবি ইসলামপন্থীদের ব্যক্তিগত কারো ভুলের কারণে কোনভাবেই যদি সংগঠন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, কালিমালিপ্ত হয়, তাহলে অবশ্যই তার “সারা জীবনের সব নেক আমল মুহূর্তেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে”। এদেশে একটি প্রবাদ বাক্য আছে–চোরে খায় চাম্পা কলা, চোরের মায়ের বড় গলা–। দুর্নীতিবাজদের অনেক বড় বড় গলা আছে সহযোগী আছে, আইনের মারপ্যাঁচে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার মতো তাদের ব্যবস্থা আছে। পত্রপত্রিকা ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম তাদের হাজার‌ও দোষ-ত্রুটি দেখতে পায় না। কিন্তু ইসলামপন্থী হলেই রক্ষা নেই।

শহীদী রক্তে ভেজা সংগঠনের চাদর মায়ের দুধের মতই সাদা। সংগঠনের সাদা কাপড়ের একটি দাগ‌ যেমন সকলের চোখে আকৃষ্ট হয়, তেমনিভাবে বাঙালি জাতি সামনের পুটি মাছটিকে অনেক বড় মনে করে, পিছনের বড় বড় রুই কাতলার দিকে ফিরে দেখে না। এ বিষয়গুলো মনে রেখেই সামনে আগ্রসর হতে হবে।

লেখক: ইবনে শাহ
বিশিষ্ট কলাম লেখক ও রাজনীতিবিদ

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত খুলনা এডিশন-২০২৫
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট