এডিশন ডেস্কঃ
প্রিয় অ্যাডভোকেট শিশির মনির,
আপনি যাদের কথা বলেছেন, তারা সবাই সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যা নির্মূলের প্রতীক এতে সন্দেহ নেই। তবে আমাদের নবী (সা.) ছাড়া অন্য সকলেই সময় ও ভূখণ্ডের সীমাবদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন।
কিন্তু আমাদের নবী (সা.) সময় ও স্থান উভয় সীমারেখার ঊর্ধ্বে। তাই আমার পরামর্শ হলো—আপনি সবাইকে একই মানদণ্ডে মূল্যায়ন করেছেন, যা সঠিক নয়। আমাদের নবী (সা.) অতুলনীয় এবং
পরিপূর্ণতার সর্বোচ্চ প্রতীক।
তাঁকে অন্যদের সঙ্গে একই মানদণ্ডে মাপা যায় না, উচিতও নয়। অন্যদের নিঃসন্দেহে অবদান আছে; তারা পরিবর্তনের দূত ছিলেন,কিন্তু তাদের অবদান নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে তুলনীয় নয়। এখানেই আপনি ভুল করেছেন।
এই প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিঃসন্দেহে একজন মহান কবি, জাতির জাগরণের কবি। তিনি সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যার বিরুদ্ধে সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস। কিন্তু আল্লামা ইকবালের অবদান ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য এবং বৃহত্তর অর্থে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য আরও গভীর ও বিস্তৃত।
আমার মনে হয়, আপনার বক্তব্যটি আবেগপ্রবণ ছিল। আপনার মতো একজন জাতীয় ব্যক্তিত্বের মন্তব্য হওয়া উচিত অত্যন্ত বিচক্ষণ ও পরিমিত। কারণ, আপনি শুধু একজন আইনজীবী নন—আপনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামক ইসলামী আন্দোলনের একজন আলোকবর্তিকা।
ইসলামের আলোকে আপনার মন্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা ও যথার্থতা নিয়ে আমার গভীর প্রশ্ন রয়েছে। তাই ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়ার আগে দু’বার চিন্তা করবেন।
আমাদের নবী (সা.)-এর মর্যাদা ও অবদান অনন্য, তুলনাহীন। তিনি মানবজাতির জন্য আজও এক অফুরন্ত বরকত, এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর শিক্ষা মানবতাকে পথ দেখাবে ও অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আমার প্রিয় ছোট ভাই, আবেগপ্রবণ না হয়ে বাস্তবে মনোযোগী হবেন প্লিজ।
ধন্যবাদান্তে,
প্রকৌশলী মো গোলাম কিবরিয়া
সিরাজগঞ্জ।